সুমন আহমেদ বিজয় ॥ জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোছাঃ রুকিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- লাখাই উপজেলার ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বুল্লা গ্রামের মৃত ছায়েব আলীর স্ত্রী মোছাঃ রুকিয়া খাতুনের স্বামী ৩ মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী মৃত্যুবরণ করার পর প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় ৩ মেয়েকে কোনরকম বিবাহ দেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রুকিয়া খাতুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরটি হেলে পড়লে প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সহায়তায় ঐ ঘরটি কোন রকম দাঁড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মোছাঃ রুকিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী মারা যাবার পর ৩ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর আমি এখন একা। আমি বরশি দিয়ে মাছ ধরে কোন ভাবে দুমুঠো ভাত খাই।
তিনি জানান আমি গরীব অসহায় বিধবা মহিলা। আমি মেম্বার চেয়ারম্যান সহ অনেকের কাছে গেছি সাহায্য পাওয়ার জন্য। কেউই কিছু দেয় নাই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারীভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ না থাকায় মোছাঃ রুকিয়া খাতুনকে সরকারীভাবে কোন সহায়তা করা যাচ্ছে না। তবে সরকারী কোন বরাদ্দ এলে তাকে বিবেচনা করা হবে।
৬নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ জানান, রুকিয়া খাতুনের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি, দ্রুতই চেষ্টা করব তাকে সরকারীভাবে কোন সহায়তা দেওয়া যায় কি-না।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি, মোছাঃ রুকিয়া খাতুন আমার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলে, কোন ধরনের সরকারী সহায়তা দেওয়া যায় কি না এ বিষয়ে দ্রুত খতিয়ে দেখব।