স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গত দুই সপ্তাহে অন্তত অর্ধশতাধিক হাইকোর্টের জামিনের আদেশ জমা পড়ে আছে। এতে করে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। চলমান আন্দোলনের কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় ডাক যোগে হাইকোর্টের জামিনের আদেশ রাজধানী থেকে ট্রেনে করে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে পৌঁছে। সেখান থেকে প্রধান ডাকঘরে আসার পর জামিনের আদেশসহ জরুরী কাগজপত্র সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়ে থাকে। জামিনের কাগজপত্র ঢাকায় আটকে থাকায় আসামীরা কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। ফলে কারাগারে থাকা বন্দীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী জানান, জামিন হওয়ার ২/৩ দিনের ভেতর কোর্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এসব জামিনের আদেশ রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কমলাপুর রেল স্টেশনে জমা পড়ে আছে। জামিনের আদেশ অনলাইনে দিলেও রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে মূল আদেশ হবিগঞ্জ কোর্টে আসছে না। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্তি ও ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।