বিশেষ প্রতিবেদন…

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া থেকে পাহাড়ের শুরু। পুরাতন মহাসড়ক (কামাইছড়া) থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার গেলে মুছাই পাহাড়ি বাজার। প্রবেশ করে এ বাজারের মাঝামাঝি স্থানে একটি ফলের দোকান চোখে পড়বে। দোকানটির মালিক মোঃ আক্কাছ আলী। তার দোকানে বারোমাসি ফল পাওয়া যায়। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানে ফল বিক্রি হয়। সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের কাছে ফলের দোকানটি বেশ জনপ্রিয়।
সরেজমিন দেখা যায়, লোকজন এসে আনারস, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, নাগা মরিচ, আম, জাম, লেবু, লিচুসহ পাহাড়ি ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে কাঁঠাল কিনে দোকানের পাশের টিলায় বসে খাচ্ছেন। অনেকে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আনারস কেটে দেওয়ার জন্য বলছেন। দোকান মালিক কেটে দিচ্ছেন। লোকজন আনারস খেয়ে স্বাদ উপভোগ করছেন।
ফারুক দেওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, চারদিকে সবুজ পাহাড়। মাঝখান দিয়ে পুরাতন মহাসড়ক। এ সড়কে যাওয়ার পথে মুছাই বাজারে ফলের দোকান। গাড়ি দাঁড় করিয়ে পাহাড়ি আনারস খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। বাড়ির জন্য কয়েকটি আনারস কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
গাড়ী চালক তারেক তালুকদার বলেন, দোকানে বসে পাকা কাঁঠাল খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। এর আগে আনারস খেয়েও স্বাদ পেয়েছি। এখানকার ফল খেয়ে মনে হয়েছে বিষমুক্ত।
ঢাকার বাসিন্দা পারভীন আক্তার। তিনি গাড়ি করে শ্রীমঙ্গলে যাচ্ছিলেন। পথে ফলের দোকান দেখতে পেয়ে গাড়ি দাড় করেন। দোকান থেকে বেশ কয়েকটি আনারস কিনে নিয়ে যান। তার মতো নানা স্থানের লোকজন এ দোকানে এসে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার খেয়েও যাচ্ছেন।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, মোঃ আক্কাছ আলী বারোমাসি ফল বিক্রি করেন। লোকজন তার দোকানে এসে ফল ক্রয় করে নিয়ে যান। অনেকে আবার খেয়ে যান। তিনি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন বাগান থেকে ফলগুলো সংগ্রহ করে থাকেন।
বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে দোকান মালিক মোঃ আক্কাছ আলী বলেন, পাহাড়ি এলাকার বাগান থেকে আনারস, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, নাগা মরিচ, আম, জাম, লেবু, লিচুসহ পাহাড়ি ফল ক্রয় করে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। এভাবে সুনামের সাথে প্রায় ১৮ বছর ধরে ফল বিক্রি করে আসছি। দৈনিক ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। বিষমুক্ত বলেই লোকজন আমার দোকানের ফল কিনে থাকেন।