৩ আসামীর যাবজ্জীবন ॥ প্রত্যেক আসামীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় এক জনের মৃত্যুদন্ড ও ৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোঃ আজিজুল হক এ দন্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা পলাতক থাকলেও খালাস পাওয়া একজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত মোহাম্মদ আলী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগআছড়া গ্রামের হাজী আলতাব আলীর ছেলে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাহুবল উপজেলার গুহারোয়া গ্রামের মতিন সর্দারের পুত্র সাইদুর রহমান ছায়েদ। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- একই উপজেলার বশিনা গ্রামের মৃত আনছব উল্লার পুত্র মোঃ মর্তুজ আলী, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র খোকন মিয়া ও বাহুবল উপজেলার কিরবাসই এলাকার কাজী চনু মিয়ার পুত্র কাজী এমরান মিয়া। তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুর রউফ নামে এক জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। অপরদিকে মৃত্যুবরণ করায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে মাহবুবুল আলম ও আব্দুল্লাহ মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলযোগে বাগআছরা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলী। পথে কদমতলী সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতদল হামলা করে তাকে খুন করে টাকা লুটে নেয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা হাজী আলতাব আলী বাদি হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি একাধিক কর্মকর্তা তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মাঝে ৩ জন আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। পরে ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আদালত উল্লেখিত রায় দেন।
রাাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও পারভীন আক্তার বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। এতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। অপরাধীরা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে সাবধান হবে।