নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ শেষ কবে?

জাবেদ তালুকদার ॥ দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা প্রতিনিয়তই ৩৫ ডিগ্রীর উপরে থাকছে। গতকালও নবীগঞ্জ উপজেলায় ৩৭ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহেও নবীগঞ্জে থেমে নেই বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। পৌর শহরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম হলেও শহরতলী এবং গ্রামাঞ্চলে দিনে অন্তত ১০-১৫ বার আসা যাওয়া করে বিদ্যুৎ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১২-১৪ ঘন্টাই থাকে না বিদ্যুৎ।
এদিকে তীব্র তাপদাহের মধ্যেই আজ শনিবার সারাদিন জরুরী রক্ষণাবেক্ষন কাজের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এ ঘোষণার পর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যাহত টালবাহানা নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউবা আন্দোলনের হুশিয়ারি দিচ্ছেন।
গ্রাহকদের দাবী, নবীগঞ্জ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সারাদেশে সরবরাহ করা হয় আর নবীগঞ্জবাসীকে বছরের পর বছর লোডশেডিংয়ে ভূগতে হচ্ছে। এ যেন বাতির নিছে অন্ধকার নবীগঞ্জ। গত ১০-১২ বছর ধরে প্রতি শুক্র/শনিবারে জরুরী রক্ষণাবেক্ষনের দোহাই দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হতো। গত কয়েক মাস তা বন্ধ রাখার পর আবার শুরু হয়েছে। অনেকেই এটাকে বিদ্যুৎ বিভাগের নাটকিয়তা হিসেবে দেখছেন।
বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার ঘোষণার পর ফয়জুর রব পনি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিতে মতামত শেয়ার করলে মুহূর্তেই তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। তার পোস্টটি ছিল “এই তীব্র তাপদাহের কথা বিবেচনা করে পল্লী বিদ্যুতের আগামীকাল এর রক্ষনাবেক্ষন কাজ ভোর ৪ টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত করার অনুরোধ করছি।”
তার মতামতের সাথে অনেকেই সহমত পোষণ করেন। এমডি মাসুদ নামে একজন কমেন্ট করেন, “এই অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের আগামীকালের কাজ অবশ্যই স্থগিত রাখতে হবে।” আজাদ নামে একজন লিখেন, “ইয়া ই গরমে রক্ষনাবেক্ষণের কাজ করলে তো অবস্থা খারাপ অইযাইবো”। মিলাদ নামে একজন লিখেন, “জীবনটাই তো রক্ষণাবেক্ষণের উপর কাটাই দিতেছে। মেঘ, তুফান, বাতাস কিছুই হলো না, এতো কী রক্ষণাবেক্ষণ করে তারা।” আরিয়ান নামে একজন লিখেন, “এখন আবার কিসের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, প্রতিবাদ করার মত মানুষ নাই এ কারণে আজ এই অবস্থা, লোডশেডিং এর জ্বালায় নবীগঞ্জ ছেড়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছে করতেছে।” আরেকজন লিখেন, “…বিদ্যুতের সংকটের কথা অকপটে স্বীকার না করে রক্ষণাবেক্ষণের নামে ফালতু কারবার অসহনীয়..!”
দ্রুত বিদ্যুত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হয়ে এভাবে চলতে থাকলে গ্রাহকদের ক্ষোভ বেড়ে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।