প্রধান শিক্ষকের জন্য তৈরী হচ্ছে বিলাশবহুল বাড়ি
মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে শিক্ষকদের ৩ মাসের বেতন ভাতা না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের জন্য বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে উপজেলার জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের তহবিল সংকট দেখিয়ে গত ৩ মাস যাবত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা দিয়ে এর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের জন্য বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। শ্রেণি শিক্ষকদের হিসেব মতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বাবদ প্রায় ২৮ লাখ টাকা আদায় করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিয়েছেন। তাছাড়া ২০২৩ সালের বকেয়া আরও ৬ লাখ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের বাসার নামে বিলাসবহুল প্রাসাদ নির্মাণে ব্যস্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক জানুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে দাবি করলেও শিক্ষকরা তা অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের জন্য ৬ কক্ষ ও ২ ওয়াশরুম বিশিষ্ট একটি বাড়ির ছাদ ডালাইসহ আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে ইটের শুড়কি ট্রাক্টর দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির বাড়ির সামনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল্লা ভূইয়া জানান, সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যে খাতে আয় সে খাতে ব্যয় করতে হবে। তাই তহবিল সংকটের কারণে বেতন-ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন বেশিরভাগ শিক্ষক।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দীন খান বলেন, শিক্ষকদের জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রধান শিক্ষকের জন্য বাসভবন নির্মাণের জন্য কোন টেন্ডার হয়নি এবং কোন বাজেট হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি কমিটির মাধ্যমে যখন যা প্রয়োজন খরচ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।