এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জের পল্লীতে ইউটিউব দেখে পেট্রোল বোমা ও গেইম বানাতে গিয়ে এক কলেজছাত্রসহ ৭ শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের আলী মিয়ার পুত্র, নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র কলেজ জমির আলী(১৬) ৭ শিশুকে নিয়ে তার বসতঘরের পাশে একটি পেট্রোল বোমা সদৃশ গেইম বানানোর চেষ্টা করে। এসময় তার ব্যবহৃত পেট্রোল গ্যাস লাইট বিম্ফোরণ হয়ে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। সাথে আগুনের ফুলকি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সবার গায়ে আগুন লেগে যায়। গুরুতর আহত হয় ওই গ্রামের আংগুর মিয়ার পুত্র তানভির (৩) ও সাব্বির (৫), শাহাম্মদ মিয়ার পুত্র শাফায়ান (৫), হোসেন মিয়ার পুত্র ইমন মিয়া (৪), আলিফ মিয়ার পুত্র আকরাম (৬) ও আয়ান (৭)। ৭জনকে প্রথমে সিলেট ওসমানি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এর মাঝে তানভীর ও সাব্বিরের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এদিকে তাদের পিতা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ মিলে তাৎক্ষনিক ৭০ হাজার টাকা তুলে তাদেরকে ঢাকায় পাঠান। আহতদের বাবা আংগুর মিয়া বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক এলাকায় পৌছে অসহায় আংগুর মিয়াকে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে তার দুই শিশুকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। পেট্রোল, মোবাইল দিয়ে বোমা গেইম তৈরির সময় বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলে থাকা ৭ শিশুর সবাই আহত হয়।
গুমগুমিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, গুমগুমিয়া গ্রামের আলী মিয়ার পুত্র, নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র কলেজ জমির আলী (১৬) পেট্রোল দিয়ে ইউটিউব দেখে গেইম বানানোর জন্য ৭ শিশুকে নিয়ে তার বসতঘরের পাশে একটি পেট্রোল বোমা সদৃশ গেইম বানানোর চেষ্টা করে। এসময় তার ব্যবহৃত গ্যাস লাইট ও মোবাইল বিম্ফোরণ হয়ে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। সাথে আগুনের ফুলকি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সবার গায়ে আগুন লেগে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে খোঁজ নিয়েছি, এক কিশোর শিশুদের নিয়ে মোবাইল গেইম খেলার সময় বিস্ফোরণ হয়েছে। আহত সবাই চিকিৎসাধীন আছে। বাড়ি এলে তদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটন করবো।