ডেগারসহ জনতার হাতে ধরাশায়ী যুবক ॥ পুলিশে সোপর্দ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডে ফিল্মি স্টাইলে গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাতে থাকা ডেগার দিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুরুদ মিয়া নামে এক যুবক। স্থানীয় জনতা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটক দুরুদ উপজেলার ছোট সাকুয়া গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ছোট সাকুয়া গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে দুরুদ মিয়া কয়েক বছর আগে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামের আয়াত আলীর মেয়ে জাইরুন বেগমকে। তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জাইরুন বেগম বছর খানেক পূর্বে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দুরুদ মিয়াকে তালাক দেন। এক পর্যায়ে উভয়ের পরিবার ও মুরুব্বীয়ান কাজীর মাধ্যমে তালাক রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই দুরুদ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী জাইরুন বেগমকে সংসারে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। জাইরুন তার সংসারে ফিরে যেতে না চাইলে দুরুদ মিয়া জাইরুন ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে দুরুদ মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় মুরুব্বীয়ান একাধিক শালিস করে দুরুদ মিয়াকে জাইরুনের পরিবারকে হুমকী প্রদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত দেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাইরুনের বাড়ী কানাইপুর গ্রামে গিয়ে দুরুদ মিয়া ভয়ভীতি প্রর্দশন করে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাইরুন বেগমের বোন সুহেনা বেগম ও খালেদা বেগম ওসমানী রোডস্থ ডাঃ আব্দুস সামাদের চেম্বারে চিকিৎসা শেষে রিক্সার জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি মিশুক গাড়ী নিয়ে দুরুদ মিয়া ও অজ্ঞাতনামা লোকজন সুহেনা বেগমকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এ সময় সুহেনা বেগম শোর চিৎকার শুরু করলে দুরুদ মিয়া তার কোমড়ে থাকা ডেগার বের করে সুহেনা বেগম ও তার কোলে থাকা শিশু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। সুহেনার শোর চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে দুরুদ মিয়াকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডেগারসহ তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।