একজন মেধাবী, দক্ষ, ত্যাগী, সৎ, যোগ্য ও পরিশ্রমী আদর্শবান নেতার সঠিক নেতৃত্বই একটি দেশ তথা জাতিকে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করে। কিন্তু এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নেতার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্যমি প্রচেষ্টা থাকা আবশ্যক। এমনি একজন জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
যার কোনো ক্যাডার নেই, নেই সিন্ডিকেট। জনগণই যার হৃৎপিন্ড। ২০০৯ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই একেবারে প্রান্তিক মানুষের সাথে মিশে নানান উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করছেন। সেই সাথে বিচার-পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সকল শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য। ২ উপজেলার রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়াসহ নানান খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করে সর্বমহলে আজ তিনি সমাদৃত ও প্রশংসিত। এমপি আব্দুল মজিদ খানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা অত্যন্ত প্রখর। তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য হওয়ার আগ থেকেই জনমানুষের সাথে মিশে ছিলেন। তিনি একজন সফল ও জনপ্রিয় আইনজীবী। আইনজীবীদের অধিকার আদায়ের জন্য হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সুচারুরূপে।তিনি একজন স্বল্পভাষী সদা হাসোজ্যল ব্যক্তিত্ব। সেই সাথে অনলবর্ষী বক্তা। এ মানুষটির দরজা গরীব-অসহায় মানুষদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত। দেখা করতে লাগে না কোন পাস বা লবিং।
২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। এ জনপ্রতিনিধির শিকড় অত্যন্ত গভীরে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই জনগণ থেকে এ নেতাকে মুছে ফেলা যাবে না। এবার তিনি জনতার চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। যার মার্কা হচ্ছে ঈগল। কিশোরগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ, মদনপুর, দিরাই, শাল্লা, জলসুখা, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ জেলা সদর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি পরিবহনসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিবহন। যা বছরের ১২মাসই দিন-রাত যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। অত্র অঞ্চলের জন্য বিশাল এক মাইল ফলক হিসেবে মনে করছেন এখানকার জনসাধারণ। এ ছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট, বেসরকারি স্কুল-কলেজ সরকারিকরণসহ বহুতল ভবন নির্মাণ, ফায়ার স্টেশন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ বাড়ি, বিভিন্ন ভাতা ইত্যাদি নানাবিধ সুবিধা পাচ্ছেন জনগণ। এতে হতে হয়নি কোন ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সরকারের প্রতিনিধি হয়ে ২০০৯ খ্রি. থেকে ২০২৩খ্রি.পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৭শত ৭৬ কোটি টাকার কাজ সম্পাদন করেছেন। এছাড়াও চলমান ও পূর্ব পরিকল্পিত উন্নয়নমূলক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যা সম্পাদিত বাজেটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন সর্বজন স্বীকৃত। যা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভিন্নতাবলম্বী নেতা/কর্মীগণকেও আলাপ-আলোচনা/টেবিলটকে স্বীকার করতে দেখা যায়। তিনি জনতার প্রতিনিধি। যাঁর সাথে দেখা করতে লাগেনা কোন নেতা/কর্মীর অনুরোধ বা লবিং। তিনি দেশ এবং জনগণকে নিয়ে ভাবেন। তিনি ধার্মিক, তবে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে ভাবেন। তিনি জনগণকে বুকভরে ভালোবাসেন, জনগণও তাঁকে প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে। যার ফলশ্রুতিতে দ্বাদশ নির্বাচনে ঈগল পাখির মিছিল-মিটিংয়ে নানাবিধ ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে উপচেপড়া ভীড় করছেন সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। ৭ জানুয়ারি ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল আসবে ইনশাআল্লাহ।
ঈগল প্রতিকে ভোট দিয়ে
উন্নয়ন ও শান্তির ধারা অব্যাহত রাখুন।
জয় বাংলা।