স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা বিতর্কের পর অবশেষে বাতিল করা হয়েছে নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থীর উপস্থিতিতে নির্বাচন পরিচলনায় ৬ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনার বিপরীতে একটি মনগড়া উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মুহূর্তের মধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানামুখি আলোচনা সমালোচনা। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা পরিচালনা কমিটিতে স্থান না পাওয়া, বিএনপি থেকে যোগদান করা ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা এবং বিভিন্ন কারণে দল থেকে বহিস্কার ও অব্যাহতি প্রাপ্ত লোকদের কমিটিতে রাখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে ও বিভিন্নভাবে হতাশা ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা। ঘোষিত কমিটিতে স্থানীয় এমপিসহ সিনিয়র নেতাদের ক্রমানুসার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে ঘোষিত ওই কমিটি বাতিলের ঘোষণা দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। কমিটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনার ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচলনায় গতিশীল কমিটি গঠন করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, মনগড়া কমিটিতে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে বর্তমান ও সাবেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সিনিয়রদের ক্রমানুসারে পরিচলানা কমিটি গঠনের নির্দেশনা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ বলেন, ফেসবুকে আপলোড দেয়া কমিটি বিলুপ্ত করে আলোচনার ভিত্তিতে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠিত হবে। গঠিত কমিটি পদ মর্যাদার ভিত্তিতেই হবে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের উপস্থিতিতে ঘোষিত ৬ সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালনা কমিটিতে সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নের নির্বাচিত বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। পরিচালনা কমিটি ছাড়াও দলের সকল স্থরের নেতাকর্মীর সমন্বিত অংশগ্রহণ জরুরী। নির্বাচনী এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।