স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনে হবিগঞ্জের ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের সভাকক্ষে সাংবাদিক সাথে প্রেসব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি বলেন- সিভিল সার্জন অফিস হবিগঞ্জের আয়োজনে ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪১ হাজার ২২৬ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪ হাজার ৩৬৮ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ৪৪৭ জন, স্বাস্থ্য বিভাগের ২৬৬ জন মাঠ কর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ক্যাম্পেইনে ৩ হাজার ৭৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। ১ হাজার ৮৮৬টি ইপিআই কেন্দ্রের স্থায়ী, অতিরিক্ত ও আউটরিচ এবং ২১৫টি সিএইচপিতে একযোগে ওই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিংকালে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক আরও বলেন- শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিমাণ মতো ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। তিনি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন বলেন- ভিটামিন এ শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতাও কমায়। ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভরা পেটে খাওয়া ভালো। এটি শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে অসুস্থ শিশু, ৬ মাসের কম বয়সী শিশু, ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু ও ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানে হয়েছে এমন শিশুকে ক্যাম্পেইনের দিন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।