পাঠকের কলাম
মোঃ জামাল হোসেন লিটন
হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ আসন জেলার ৪টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইছে জোরেশোরে। একদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী কাজে শান্তি, উন্নয়ন, সমাবেশসহ সোস্যাল মিডিয়ার বেশ সরগরম। অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপি তফসিল ঘোষণা বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী এবং বর্তমানে হরতাল অবরোধসহ বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে মাঠে রয়েছে। এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। গত দু’টি সংসদ নির্বাচনে টানা দুইবার জয়ী হন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তাঁর আমলে বাল্লা স্থলবন্দরসহ চুনারুঘাট-মাধবপুরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন একাডেমিক ভবন ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী বলেন এই সরকারের আমলে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে আর কারো আমলে সেটা হয়নি। হবিগঞ্জ-৪ আসনে আমি জনগণের সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নির্বাচনী এলাকায় তিনি প্রতিনিয়ত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। মাধবপুর ও চুনারুঘাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণে তিনি অবদান রেখে চলছেন। অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী বলেন, নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করেছেন। তিনি আশাবাদী যে, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মনোনয়ন দেবেন। গত দু’টি নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সবকয়টি গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-বাজারে ব্যাপক উন্নয়নসহ গণসংযোগ করেছেন। এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে আরো ৭জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা প্রদান করেছেন। তারা হলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টর সায়েদুল হক সুমন, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নিজামুল হক রানা মোস্তফা শহীদ, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আরিফুল হাই রাজিব, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলী ও শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুনির। এ আসনটিতে স্বাধীনতার পর দু’বার জাতীয় পার্টির এমপি ছিল। পরে আওয়ামী লীগের হাতে এলে আর হাতছাড়া হয়নি। ’৯১ থেকে ২০১৮সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের প্রার্থীরাই এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ভোটের হিসাবে এখানে সব সময় আওয়ামীলীগ এগিয়ে, বিএনপি ৪০ শতাংশ ভোট পেলে আওয়ামী লীগ পায় ৫০ শতাংশ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৮) আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী পান ৩ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট শরিক খেলাফত মজলিশ মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের ৪৬ হাজার ১৮৩ ভোট পান। ১০ম সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) আওয়ামী লীগের মাহবুব আলী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৩ ভোট পান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তানভীর আহমেদ তালা প্রতীকে পান ১৪ হাজার ৭৬০ ভোট।