ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বললেন- হবিগঞ্জ শহরে মাদকাসক্ত যুবকরা পাড়ায় মহল্লায় প্রতিদিন চুরি করছে। একশ্রেণীর ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে তারা এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের কিবরিয়া পৌর মিলনায়তনে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মিলনায়তনের পিছনের গ্রিল কেটে চোরেরা ভিতরে প্রবেশ করে। তারা পিছনের রুমে রাখা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। তাছাড়া বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি হবিগঞ্জ সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করলে তৎক্ষনাৎ সাব ইন্সপেক্টর আজাদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ কিবরিয়া মিলনায়তনের পাহারাদারসহ আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে।
এ সময় মেয়র আতাউর রহমান সেলিম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ‘কিবরিয়া মিলনায়তনের এরিয়া অনেক বড়। আমরা এখানে পাহারাদারও রেখেছি। পাচঁটি সিসি ক্যামেরাও ছিল। চোরচক্র চুরির জন্য বৃষ্টির রাত বেছে নেয়। তারা সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে, পাহারাদারকে ফাঁকি দিয়ে এই অপকর্ম সংঘটিত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জ শহরে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। এক শ্রেণীর মাদকাসক্ত যুবকরা পাড়ায় মহল্লায় প্রতিদিন চুরির ঘটনায় লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও একশ্রেণীর ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে তারা এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ‘শহরে কিছু চিহ্নিত চোর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে চুরির ঘটনা কমে আসবে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃনিস্কাশন) মোঃ আবদুল কদ্দুছ শামীমসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের আনুমানিক মূল্য নির্ণয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পৌরসভা অফিস জানিয়েছে।