নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে পুলিশের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে নেশাগ্রস্ত স্বামীকে তালাক দিয়েছেন এক নারী। অবশ্য ওই নারীর স্বামীর অভিযোগ উজ্জল মোল্লা নামে পুলিশের এক এএসআই তার স্ত্রীকে স্বামীর সংসার থেকে বের করে নিয়েছেন। উজ্জল মোল্লা (বিপি ৮৫০৫১৩৯৯৫৩) মাধবপুর থানার কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর জব্দকৃত মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে ‘জনস্বার্থে’ তাকে বদলি করা হয়। বর্তমানে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় কর্মরত আছেন উজ্জল মোল্লা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধর্মপাশা থানায় যোগদান করেন তিনি।
সূত্র জানায়, প্রায় ১ মাস আগে এএসআই উজ্জল মোল্লা মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের শিমুল মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী নাহিদাকে (২২) ফুঁসলিয়ে নিয়ে যান। নাহিদার স্বর্ণা নামে পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। দুইদিন আগে ঘটনা জানাজানি হয়। নাহিদার স্বামী শিমুল মিয়া একটি মাদক মামলায় আটক হয়ে কিছুদিন জেলে ছিলেন। এসময় উজ্জল মোল্লার সাথ নাহিদার পরিচয় ঘটে। উজ্জল মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি বিবাহিত।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এএসআই উজ্জল মোল্লা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব ফাউল আলাপ। নাহিদাকে আমি চিনি না।’ নাহিদা আক্তার জানান, স্বামীর সাথে দুইমাস আগে তার ডিভোর্স হয়েছে। তার স্বামী শিমুল নেশাগ্রস্ত। এএসআই উজ্জল মোল্লার সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে এলাকায় যা রটেছে এটা গুজব। তবে উজ্জল মোল্লাকে ভালো লাগে তার। তার সাথে ঘুরতে গিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন নাহিদা। এএসআই উজ্জল মোল্লার সাথে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো তখনই উঠানো হয় বলে জানান নাহিদা।
নাহিদার পিতা সিরাজ মিয়া জানান, নাহিদা চোখের চিকিৎসা করাতে ঢাকা গেছে। সিরাজ মিয়াও দাবি করেন নাহিদার স্বামী শিমুল মাদকাসক্ত।
এ ব্যাপারে নাহিদার স্বামী শিমুল মিয়া জানান, ‘নাহিদা তাকে তালাক দিয়েছে। কিছুদিন আগে নোটিশ পেয়েছেন। তবে তার ধারণা, তালাকের পেছনে এএসআই উজ্জল মোল্লার হাত রয়েছে।’