বিএনপি নেতাকর্মীদের নিক্ষিপ্ত পেট্রোল বোমায় নবীগঞ্জ থানার এসআইসহ ১৪ পুলিশ আহত
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় ৪টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার ও পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা এবং বোমা হামলায় ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার অভিযোগে বিএনপির ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নবীগঞ্জ থানার এসআই অনিক পাল বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাবেক ছাত্রদল নেতা ও নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে মঈনুল ইসলাম (৩৪) ও যুবদল নেতা কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মিনাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান সেফুর নেতৃত্বে ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মী মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে নাশকতা ও গাড়ি ভাংচুর করার লক্ষ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি, বাঁশের লাঠি, লোহার রড, ইটের টুকরোসহ অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে পুলিশকে আঘাত করে। এসময় আসামী মঈনুল ইসলাম পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়লে রাস্তার পাশে পড়ে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরিত হয়। পরে আসামীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আসামী মঈনুল ও রিপনকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এসআইসহ পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় ৪টি পেট্রোল বোমা ও বিএনপি অঙ্গসহযোগী সংগঠনের একটি ব্যানার জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আহবায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরী(৭০)কে বুধবার রাতে গ্রেফতারের পর বিষ্ফোরক মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসাবে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।