স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকাস্থ দি জাপান বাংলাদেশ হসপিটালের পরিচালক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নারীর জরায়ূ কর্তন ও কিডনি উধাও’র মামলায় যে কোনো সময় লাশ কবর থেকে তুলে ময়ানতদন্ত করা হবে। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজাদ আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞ আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফনের নির্দেশ দেন। তিনি যে কোনো দিন লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর শহরতলীর বহুলা গ্রামের রহিমা খাতুন নামে অসুস্থ এক নারীকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দালাল চক্র দি জাপান বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীর অপারেশন করেন ডাঃ এস কে ঘোষ। অপারেশনের পর তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তা রুজু করার জন্য সদর থানাকে নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি রুজু করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।