খাদিজা হারুন বললেন- আমার ইনস্টাগ্রাম আইডি কে বা কারা হ্যাক করে কিছু আপত্তিকর ছবি এডিট করে আমার মানহানি করার চেষ্টা করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যৌন আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পীকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েকজন জোর তদবির চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা অশ্লীল অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। ওই মহলটি চুনারুঘাটের ছাত্রলীগ নেত্রী খাদিজা হারুনকে জড়িয়ে নানা কল্পকাহিনী তুলে ধরছে। বিষয়টি ছাত্রলীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন সচেতন ছাত্রনেতারা।
এ পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী খাদিজা হারুন। এ বিষয়ে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন “সত্যটা কি আগে জানুন তারপর সমালোচনা করুন ঃ
গত ২২-০৫-২০২৩ তারিখে আমার ইনস্টাগ্রাম আইডি কে বা কারা হ্যাক করে কিছু আপত্তিকর ছবি তারা ইডিট করে আমার মানহানি করার চেষ্টা করে। অতঃপর আমি আমাদের চুনারুঘাট থানায় ২৪-০৫-২০২৩ তারিখে একটা সাধারণ ডায়েরি করেছি। পরবর্তীতে আমি ২৫-৮-২০২৩ তারিখে র‌্যাব-৯ এর কাছে অভিযোগ করি।
কিন্তু কথা হচ্ছে সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ভিডিও ভাইরাল ও বহিস্কার হওয়ার পর থেকে কে বা কাহারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন ভাইয়ের সাথে আমার কিছু মিথ্যা ভিত্তিহীন ইডিট করা ছবি ও ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। ফয়জুর রহমান রবিন আমার ভাই, আমার রাজনৈতিক লিডার। আমার আপন কোন বড় ভাই নাই, রবিন ভাইয়ের আচার-আচরণ, ব্যবহার দায়িত্বশীলভাবে বোনের মত করে আগলে রাখা দেখে মনে হয় আপন মায়ের পেটের ভাই। যারা এ ধরনের ময়লা আবর্জনা ছড়াচ্ছে তাদের হয়তো জানা নেই সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে চাপা দেওয়া যায় না। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই এতে আমার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বরং এতে আমি রাজনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হচ্ছি। সারা জাহানের মালিক আল্লাহ। উনি ত সব দেখছেন এবং প্রতিটি কর্মের ফল স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারিত করবেন।”