স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রহিম উদ্দিন (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। গতকাল ১২ নভেম্বর বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত রহিম উদ্দিনের পিতা জিতু মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের খালেক মিয়ার পুত্র জনি মিয়া ও সোহাগ মিয়াকে আসামী করে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, গতকাল ১২ নভেম্বর বিকালে স্থানীয় মক্রমপুর বাজারে চাঁদাবাজি করতে যায় ছাত্রলীগ নেতা রহিম উদ্দিন। এ সময় এক দোকান মালিকের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জনতার গণপিটুনিতে রহিম উদ্দিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহত রহিম উদ্দিনের পিতা জিতু মিয়া বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকে পুলিশ হত্যা মামলার আসামী জনি মিয়া ও সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী পরিবারের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তারা আসামী জনি মিয়া ও সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।