মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। অন্যান্য বছর এ দিনে দেশ মেতে থাকে নাচে-গানে, উৎসবে-আনন্দে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উৎসবের রঙে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে অনেকটা নিরবেই দিনটি পালিত হবে। কালের পরিক্রমায় বাংলা ১৪২৭ সালকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রত্যাশা নিয়েই আজ দিনটি উদযাপন করা হবে। বাংলা নববর্ষ আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বৈশাখী উৎসবের মধ্যে দিয়ে বাঙালি তার শিকড় খুঁজে পায়। জীবন সংগ্রামী মানুষগুলো প্রতিনিয়ত বাঙালিয়ানার যে নিজস্বতা আছে সেটা ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। পহেলা বৈশাখে প্রকৃতিও যেনো নতুন জীবন ফিরে পায়। বৈশাখ বাঙালির জীবনে এক বড় সুখের সময়। এই সময় উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে জীবন। এই উদ্দীপনা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। বাঙালির হৃদয় ও মনে উৎসবের যে আমেজ ছড়িয়ে পড়ে তা নানা ধরনের কলুষতার মধ্যেও নবীন আবেগ সঞ্চার করে। প্রাণের আবেগ নিয়ে বেঁচে ওঠার প্রেরণা দেয়। অন্যান্য বছর বৈশাখের এইদিনে হবিগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রঙিন রূপ ধারণ করলেও এবার করোনা মাহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈশাখের কোন আয়োজন নেই।
গতবারের মতো এবারো বাংলা নতুন বছরকে ঘরে বসে বরণ করতে হবে আমাদেরকে! কারণটাও নিশ্চই অজানা নয়! বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও! তাই অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও চলছে লকডাউন। জনসমাগম এড়াতে সকল প্রকার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামসহ স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই উৎসবপ্রিয় বাঙালিকে উদযাপন করতে হবে ঘরে বসে থেকে। এই আনন্দ উদযাপনের তাই রঙ ছুঁয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে। বিভিন্ন উৎসবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর এখন বিকল্প নেই। তাই, নববর্ষ উপলক্ষে রুপায়নের আজকের পোস্টে থাকছে পহেলা বৈশাখের এসএমএস, কবিতা, ওয়ালপেপার, পিকচার, কভার ফটো কালেকশন। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক কালেকশনগুলো।
নববর্ষ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। নববর্ষে প্রথম দিন সবার জন্য শুভ হোক এবং ভরিয়ে দিক সকলের প্রাণের চাহিদা। নিয়ম মেনে করোনাকে জয় করে দেখবো আগামী সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সবার প্রতি এ আহবান। শুভ বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ বঙ্গাব্দ।