প্রায় দেড় ঘন্টার সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত ॥ ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক

আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে সিএনজি অটোরিকশা চাপায় কুকুর মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে দুই গ্রামের মানুষদের প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের অটোরিকশা চালক ঘিলাতলী রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় বাজারের একটি কুকুরকে চাপা দেয়। এতে কুকুরটি মারা যায়। এ নিয়ে বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের সুরুজ আলী ও মিঠাপুকুর গ্রামের অটোচালক কাওছারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে উভয় গ্রামের মানুষদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গত শুক্রবার রাতে শালিস বৈঠকের দিন নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিনই আবারও দুই গ্রামের মানুষদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রবিবার সকালে উভয় গ্রামের মানুষজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয় এর মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) মহসিন আল মুরাদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহতদের মধ্যে মাতু মিয়া (৪৫), বাবুল মিয়া (৪৫), জসিম মিয়া (২৫), মোহন মিয়া (২১), আলী আজগর (৫০), কাওছার মিয়া (৩০), আলাল মিয়া (৩৫), ফেরদৌস মিয়া (১৭), মিলু মিয়া (৫০), আবুল মিয়া (৩০), সুহেল মিয়া (২৯), ফয়সল মিয়া (২৮), মিলন মিয়া (২৫), আব্দুল হক (৩০), ইদন মিয়া (৫০), মাসুদ মিয়া (১৫), রাজু মিয়া (২০), নুরুল হক (২২), খালেক মিয়া (২৭), তৌহিদ মিয়া (৫৭), আশিকুর রহমান (৩৬), হেলাল মিয়া (৩৫), ইলিয়াস হোসনে (৩৫), আব্দুল মিয়া (৪৫), আল আমিন মিয়া (৩৮), রেনু মিয়া (৪২), মহিউদ্দিন (৫২), আনারুল (২৫), শাহিন মিয়া (৩০), ফরিদ মিয়া (৫০), ফয়েজ মিয়াকে (২৪) মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আদাঐর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান জানান, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাটি নিষ্পত্তি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আজ সোমবার বিকালে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে শালিস হওয়ার কথা রয়েছে।