স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তিতখাই-কাশিপুর গ্রামে খাদ্যে বিষ প্রয়োগে মোঃ আব্দুল ওয়াহাব নামে এক কৃষকের ১ হাজার ১শ হাঁস মেরে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে কৃষকের ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, তিতখাই-কাশিপুর গ্রামের হাজী সাবাস আলী মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল ওয়াহাব দীর্ঘদিন ধরে পাতি হাঁসের খামার করে আসছেন। তার হাঁসের খামারে ২ হাজার পাতি হাঁস ছিল। প্রত্যেকটি হাঁস ডিম পাড়তো। হাঁসগুলো হাওরে আসা-যাওয়া নিয়ে গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে তোরাব আলী গংদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরেই গতকাল বিকেল ৫টার দিকে তার হাঁসের খামারে তোরাব আলী ও তার ছেলে সাইদুল ইসলামসহ তাদের পক্ষের ৫/৬ লোক বিষ প্রয়োগ করে যায়। বিষাক্রান্ত হয়ে ছটফট করতে করতে সন্ধ্যার পর থেকেই হাঁসগুলো মারা যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ আব্দুল ওয়াহাব জানান, তার খামারের হাঁসগুলো হাওরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে একই গ্রামের তোরাব আলী গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল সকালে এ নিয়ে তোরাব আলীর সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় তোরাব আলী আমার খামারের হাঁস রাখবে না বলে হুমকি দেয়। এরপরই আমার খামারে বিষ দিয়ে যায়। বিষ দেয়ার দৃশ্য আমার পরিবারের লোকজন দেখলেও তাৎক্ষণিক তারা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তিনি বলেন- আমার খামারে ২ হাজার হাঁসের মধ্যে ১ হাজার ১শ হাঁস মারা গেছে। বাকি হাঁসগুলো বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। সেগুলো মারা যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন- যে হাঁসগুলো মারা গেছে, সেগুলো ডিমপাড়া হাঁস। হাঁসের বর্তমান বাজার মূল্য হবে ৪ লক্ষাধিক টাকা। আর এ মৌসুমের ডিমের মূল্য যদি ধরে তাহলে হাঁসের মূল্য ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গণি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, হাওরে আব্দুল ওয়াহাবের হাঁস আসা যাওয়া নিয়ে গ্রামে এক ব্যক্তির সাথে শনিবার সকালে তার ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই ওই ব্যক্তি তার হাঁস রাখবে না বলে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিষ দিয়ে হাঁসগুলো মেরে ফেলেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।