মে মাসে হবিগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশ-বিদেশে থাকা হবিগঞ্জের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন হবিগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত থাকার। কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বেই হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় পৈত্রিক বাসভবনটি ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ওয়াকফ করে দিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ডা. সিএম দেলোয়ার রানা ও তার পরিবার। আবার হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালের পুরাতন ভবনটি চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিতেও আগ্রহী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর বাহিরে জেলা শহরে যারা হার্টের চিকিৎসা করেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা হবিগঞ্জের যে সকল সন্তান হার্ট স্পেশালিস্ট তাঁরাও রোস্টার করে এখানে এসে চিকিৎসা দিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। এসকল ইতিবাচক বিষয়কে সামনে রেখে আগামী ২ মে হবিগঞ্জ শহরে আউটডোর চিকিৎসা সেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা কমিটি।
গতকাল শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের কনফারেন্স রুমে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. কামরুল হাসান তরসিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুখলিছুর রহমান উজ্জল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, সরকারী বৃন্দাবন কলেজের অধ্যাপক ইলিয়াছ বখত চৌধুরী জালাল, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর ভূইয়া, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট তাহমিনা খান জলি, জিয়াউল হাসান তরফদার মাহিন ও মহিব উদ্দিন সোহেল।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. কামরুল হাসান তরফদার বলেন, আমার ভাই ডা. মঞ্জুরুল হাসান তরফদার মাত্র ১০ মিনিটের বুকের ব্যাথায় কোথাও চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যুবরণ করেন। আমার বাবাও বিনা চিকিৎসায় বুকের ব্যাথা নিয়ে মারা যান। হবিগঞ্জে বুকে ব্যাথা নিয়ে কোন চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা চাই অত্যাধুনিক সিসিইউ সম্বলিত একটি কার্ডিয়াক হাসপাতাল হবিগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করতে। সেখানে ৬ সিটের একটি সিসিইউর ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ডা. আলাউদ্দিন ও ডা. প্রাণ গোপালের সাথে থেকে কাজ করেছি। তাঁরা ১শ বছর সামনে রেখে স্বপ্ন দেখতেন। আমিও আকাশ ছোয়া স্বপ্ন দেখি। প্রাথমিকভাবে আমরা দুটি এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করব। এর একটি থাকবে হবিগঞ্জে এবং আরেকটি থাকবে ঢাকায়। শুধু এ্যাম্বুলেন্সই নয়। আমার স্বপ্ন একদিন আমাদের হেলিকপ্টারও থাকবে। আমাদের পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ট ফাউন্ডেশনে যাতে আমাদের হবিগঞ্জের রোগীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হয় তারও ব্যবস্থা করব।
সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর ভূইয়া আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন।