প্রবাসী যুবকের দাবি তিনি ভালবাসার টানে দেশে এসে মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন
নুর উদ্দিন সুমন ॥ চুনারুঘাটে কিশোরীকে (১৫) জোরপূর্বক অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মো: জসিম উদ্দিন (৩০) নামে দুবাই প্রবাসী এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে জসিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নরপতি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটক জসিম সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ নরপতি কোনাপাড়া এলাকার ছায়েদ উদ্দিনের ছেলে।
সূত্র জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি জসিম মেয়েটিকে আমুরোড গোছাপাড়া হাইস্কুলের সামন থেকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ জানান, অভিযুক্ত জসিমকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রবাসী জসিমের দাবী দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য দুবাই থেকে তিনি গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে গত ২৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৩লক্ষ টাকা কাবিন উল্লেখ করে বিবাহ সম্পন্ন করেন। যার এফেডেভিট নং ১৭১। এফেডেভিটে উল্লেখ করা হয় পূর্ব পরিচয়ের মাধ্যমে একে অপরকে দীর্ঘদিন থেকে চিনা জানা। সেই চেনা জানার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসা চলছিল। সে মতে তাদের ভালবাসা দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হওয়ায় ভালবাসাকে বাস্তব রূপদান করার জন্য একে অপরের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ছেলের অভিযোগ প্রথমে কিশোরীর পরিবার বিয়েতে রাজি হলেও কিশোরীর দুলাইভাই জসিমের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মত পরিবর্তন করে পরিবার। জসিমের পরিবার জানায়, তারা দুইজন একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছে। রাতভর নানা নাটকীয়তার পর রাতে জসিমের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়ছে। কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে জিম্মি করে ভূয়া কাগজপত্র বানানো হয়েছে।