৬৫ দিনে একেকটি বাঁধাকপি’র ওজন হয়েছে ৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সুপ্রীম সীডের বাঁধাকপি’র বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে চুনারুঘাটের বেশ কয়েকজন কৃষক তাদের জমিতে সুপ্রীম সীড এর বাঁধাকপি সুপ্রীম কুইন চাষ করেন। এতে ভালো ফলন হয়। ইচ্ছাগুড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আইয়ুব আলী ১৫ শতক জমিতে বাঁধা কপির চাষ করেন। এতে তার খরচ হয় ৮/১০ হাজার টাকা। কৃষক আইয়ুব আলী জানান ফলন ভাল হওয়ায় ওই জমিতে বিক্রয় আসবে ৬০/৭০ হাজার টাকা। তিনি সুপ্রীম কুইন এর ফলনে অনেক খুশি। তিনি জানান, অন্যান্য কোম্পানির বাঁধা কপির পাশাপাশি সুপ্রীম কুইন চাষ করেন তিনি। ৬৫ দিনে সুপ্রীম কুইন এর ওজন হয়েছে ৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম। অন্যান্য কোম্পানীর যা ৮৫-৯০ দিনে এ ধরণের ওজন হয়ে থাকে। এটির রোগ বালাই নাই বললেই চলে। চুনারুঘাট উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ অন্যান্য কোম্পানীর বাঁধাকপি পর্যবেক্ষণ করে জানান, সুপ্রীম কুইন এর গুণাগুন কোন অংশে কম নয়। বরং এটি অনেক ভালো অল্প দিনে আসে এবং এটি খুবই টাইট। গাছে রোগ বালাই কম। তিনি কৃষকদেরকে সুপ্রীম কুইন বাঁধা কপি চাষ করতে পরামর্শ দেন।
সম্প্রতি কৃষক আইয়ুব আলীর জমিতে সুপ্রীম সীড এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সমাজসেবক আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এবং টিএসও মাহবুব আলী সুমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন- সিলেট রিজিওন এর ডেপুটি রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ ফজলুল করিম রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন- চুনারুঘাট উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমেদ, তামিম সীড্স এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মঞ্জুর আলী, কৃষকের বন্ধু নার্সারী সুশান্ত গোস্বামী, জাকির নার্সারীর মোঃ শাহাব উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ ফজলুল করিম রাসেল বলেন- বাঁধাকপি চ্যাপ্টা গোলাকার জাতের। ভিতরে অত্যন্ত শক্ত ও দৃঢ় এবং কোনরূপ ফাঁপা হয় না। কপি অত্যন্ত দৃঢ় এবং ঠাসা এবং সহজে ফেটে যায় না। দূর পরিবহনে সুবিধা জনক। চারা রোপনের ৬০/৭০ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যায়। পাশাপাশি তিনি হাইব্রিড বাঁধা কপি, সুপ্রীম কুইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং চলমান ফসলকে কেন্দ্র করে, অসীম ঝিংগা, দিল করলা, সুপ্রীম প্লাস শশা, সুপ্রীম চিচিংগা ইত্যাদি চাষ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সুপ্রীম সীড এর বাঁধাকপি সুপ্রীম কুইন পছন্দ করেন এবং এটি চাষ করবেন বলে জানান।