নবীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে তিনি নবীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। জিডি নং ১৭৬৬।
জিডি সূত্রে জানা যায়- নবীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে উক্ত ওয়ার্ডে পুনরায় কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। উক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন বিচার প্রার্থী হওয়ায় অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী। এতে কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১টা ২৬ মিনিটে নবীগঞ্জ পৌরসভাধীন হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জায়েদ চৌধুরী ৬/৭ জনকে নিয়ে মিটিং করে প্রস্তুতি নেন আগামী পৌরসভা নির্বাচনের আগে/পরে সাইফুল জাহানের উপর আক্রমণ করবেন। চরগাঁও ভোট কেন্দ্রে তার নির্দেশে ভোট চলবে। এর ব্যতিক্রম হলে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে যেভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, সেভাবে সাইফুল জাহান চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন ভোটের দিন কোন প্রকার নড়াচড়া করলে গুলি করে হত্যা করবে বলে পরিকল্পনা করে। জায়েদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার মোবাইল ফোনে অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়। এ অডিও এখন নবীগঞ্জের সাধারণ মানুষের অনেকের মোবাইল ফোনে চলে গেছে। এমনকি অডিও রেকর্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে সাইফুল জাহান চৌধুরীর মোবাইল ফোনেও। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং শেষে হলরুম থেকে বের হওয়ার পথে প্রায় দশ বছর পূর্বে হত্যার উদ্দেশ্যে জায়েদ আক্রমণ করেছিল। খবরটি নবীগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে শহরের উত্তেজিত জনতা তার উপর ক্ষিপ্ত হলে জায়েদ পালিয়ে সুইপার কলোনীতে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ তাকে সুইপার কলোনী থেকে থানা হাজতে নিয়ে আটক করে। গভীর রাতে জায়েদ সাইফুল জাহানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে ভাল হয়ে চলবে বলে মুচলেকা দিয়ে থানা হাজত থেকে ছাড়া পান।
সাইফুল জাহান চৌধুরী জানান, কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরীর এমন পরিকল্পনা ও হত্যার হুমকিতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট জোর দাবি জানান। ঘটনাটি তিনি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন।
উক্ত কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় উপজেলাজুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন- জিডি হয়েছে, জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে।