স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর ঘুরে আবার এসেছে ইংরেজি নববর্ষ। নয়া খ্রিস্টাব্দ ২০২১। বিদায় নিয়েছে বিষময় সন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর কাছে বিষময় বছর ২০২০খ্রিস্টাব্দ। করোনা ভাইরাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে টোয়েন্টি টোয়েন্টি বছরে আমরা অনেকেই দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি অনলাইনে, অথবা ঘরে বন্দী থেকে। যদিও পরবর্তীতে জীবন জীবিকার তাগিদে আজ অনেকেই ঘরের বাহিরে। শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে বললেই চলে। কিছু কিছু ক্লাস চলেছে অনলাইনে। সামাজিক দূরত্বের জন্য নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে মানুষকে তাদের কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য বহু ধরনের সৃষ্টিশীল পথ খুঁজে নিতে হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে লকডাউনের ফলে অনেক খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েন। এই ভাইরাসের দাপটে পৃথিবী তছনছ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু তার মধ্যেও মানুষ জীবনের সাথে যুদ্ধ করে টিকে রয়েছে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে আরও একটি বছর। অনেক ঘটনা, আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনায় মুখর ছিল এই বছর।
মহামারির ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া জনজীবন এক বছরেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেনি। বছরজুড়ে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে- এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। শিল্প-বাণিজ্যে স্থবিরতা। রাজনীতির মাঠ যেন খাঁ খাঁ মরু। জীবন-জীবিকার কঠিন এক যুদ্ধে মানুষ। যে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারে সচল অর্থনীতি সেই প্রবাসীরা আছেন মহা মুসিবতে। তাদের অনেকে দেশে ফিরে কর্মহীন। কেউ আবার বিদেশেই বেকার জীবনের ঘানি টানছেন। যারা কাজ করতে পারছেন তাদের সামনেও আছে নানা অনিশ্চয়তা। এমন অবস্থায় নতুন বছরকে বরণ করা হচ্ছে দুনিয়ার দেশে দেশে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিধিনিষেধের মধ্যে বন্দি এবারের বর্ষবরণ।
সবার আশা নতুন বছরটা অন্তত যেন ২০২০-এর বিষমুক্ত হয়। করোনা মহামারি কাটিয়ে আগের মতোই যেন মুক্ত পৃথিবী ফিরে আসে। পৃথিবীর দেশে দেশে বর্ষবরণও করা হয়েছে এমন প্রত্যাশা নিয়ে।