রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে অবশেষে জনগণের চাপে প্রার্থী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম ফরিদ। তিনি ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে তিনি। তার চাহিদার প্রতীক হচ্ছে ঘোড়া।
এলাকাবাসী জানান, তাজুল ইসলাম ফরিদের বাবা হাজী মো. আব্দুর রহমান ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে দীর্ঘদিন সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। জনগণের সেবা করতে গিয়ে তিনি কখনো পিছপা হননি। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থেকে তিনি এলাকার উন্নয়ন করে গেছে। তারা বলছেন, এলাকার উন্নয়নে বাবার মতোই এগিয়ে এসেছেন তাজুল ইসলাম ফরিদ। নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করে দিয়েছে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ রাস্তাঘাট। বিপদগ্রস্থ মানুষ যখনই তার কাছে গিয়েছেন তিনি বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছেন। তাই জনগণ মনে করছে সরকারি সহায়তা সুষ্ঠুভাবে বণ্ঠন ও এলাকার উন্নয়ন তাজুল ইসলাম ফরিদের বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম ফরিদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমরা এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ২২টি মসজিদ, একাধিক মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি নিজ উদ্যোগে। কারণ এলাকার উন্নয়ন আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নেশায় পরিণত হয়েছে। এবার এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন নির্বাচন করার জন্য। এলাকাবাসীর চাওয়ার মূল্যায়ন দিতে গিয়ে নির্বাচনে আসা।’
এলাকার তরুণ ইকবাল হাসান রুবেল বলেন, ইতোমধ্যে তাজুল ইসলাম ফরিদ আমাদের এলাকায় বেশ কিছু মসজিদ ও মাদ্রাসা স্থাপন করেছেন। এছাড়া এলাকার এমন কোন মসজিদ মাদ্রাসা নেই যেটিতে উনার অনুদান নেই। সবগুলোতেই তিনি অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আর রাস্তাঘাটের কথাতো বলতেই হবে না। যেখানে সমস্যা দেখেছেন তিনি নিজ উদ্যোগে সেখানের উন্নয়ন করেছেন। তাই আমরা মনে করি, তিনি এলাকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সারা ইউনিয়নজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইবে। সেই কথা বিবেচনা করেই আমরা তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।
রাজিউড়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক হেলাল মিয়া বলেন, তিনি এলাকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং গ্রহণযোগ্য প্রার্থী। তাই আমরা তার পক্ষে কাজ করছি।
রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।