মোঃ আলাল মিয়া, নবীগঞ্জ থেকে ॥ দূর থেকে দেখলে মনে হবে খড়ের তৈরি কুঁড়ের ঘর। নবীগঞ্জে হাওরগুলোতে অভিনব পদ্ধতিতে চলছে পাখি শিকার। বাঁশের খুঁটি, কলাপাতা, খেজুর ডাল, বেতের পাতা এসব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় পাখি শিকার করার জন্য ফাঁদ ঘর। আর এসব শিকারীর ফাঁদে পা দিয়েই বিপদে পড়ে শীতকালীন সময়ের অতিথি পাখিরা। সরেজমিনে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে পাখি শিকারের অভিনব ফাঁদ দেখা যায়। যদিও পাখি শিকার আইনত নিষিদ্ধ। তবুও কেন পাখি শিকার করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এ প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন এক পাখি শিকারী। তিনি বলেন, আমার নাম ঠিকানা প্রকাশ করলে আপনার সাথে কথা বলা যাবে না। কারণ আমরা জানি পাখি শিকার করা অপরাধ। তারপরও বিশেষ কিছু প্রয়োজনে আমরা পাখি শিকার করছি। দিনে কতটি পাখি শিকার করা হয় জানতে চাইলে এই শিকারী বলেন, সারাদিনে দুই একটা হয়। দুই একটা পাখি বিক্রি করে কত টাকা পান জিজ্ঞেস করলে শিকারী বলেন পাখি দিয়ে বিশেষ উপকারী কাজ হয়। বিক্রি করতে শিকার করা হয় না। পাখি দিয়ে বিশেষ কাজ কী? জানতে চাইলে শিকারীরা জানান, পাখি দিয়ে নাকি বিভিন্ন রোগের ঔষধ বানানো হয়।