দাঙ্গা মোবাইল ফোন ও মাদকের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘গম্ভীরা’ নির্মাণ
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ চা শ্রমিকদের মাদকমুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানের মাদকমুক্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি বাগানে নারী পুরুষদের নিয়ে সভা করে তাদের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। মাদকমুক্ত পরিবারগুলোকে সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যে সকল পরিবারে শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হচ্ছে। আসছে শীত মৌসুম। এ সময়ে ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে বেশি। তাই এ সময়ে আমরা একটি বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। ওয়াজ মাহফিলে যেহেতু ধর্মীয় আলোচনা হয়, তাই আমরা যারা আলোচনা করে থাকেন তাদের টার্গেট করে সামনে এগুচ্ছি। বক্তাদের তালিকা তৈরীর মাধ্যমে তাদের মধ্য থেকে একটি প্যানেল তৈরী করা হবে। প্যানেলের অন্তর্ভূক্ত ব্যক্তিগণ প্রতিটি ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় বিধিনিষেধের আলোকে ইভটিজিং, মাদকের কুফল, যৌতুক, নারী নির্যাতন, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি কেমন আচার-আচরণ করতে হয়, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রভৃতি অপরাধমূলক বিষয় নিয়ে আধঘন্টা কথা বলবেন। আমরা অনেক কিছুই জানি, কিন্তু মানি না। ধর্মীয় আলোচকগণ যখন কোন বিষয়ে ধর্মের আলোকে কথা বলেন তখন আমরা বিষটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখি। তাই তার উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিশ^াস করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম-পিপিএম। এ বিষয়ে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন- পুলিশ সদস্যদের মানসিক বিকাশের জন্য লাইব্রেরী, শারীরিক গঠনের জন্য জিমনেশিয়াম এবং ক্যান্টিন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি অপরাধ দমনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চুরি রোধে তিনি শহরের প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
তাছাড়াও তিনি দাঙ্গা-মাইর, মোবাইল ফোন ও মাদক সম্পর্কে হবিগঞ্জবাসীকে সচেতন করতে হবিগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত জনসচেতনতামূলক ‘গম্ভীরা’ নির্মাণের কথা জানিয়ে এটি দেখতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বিশ^াস করেন এটিও দাঙ্গা-মাইর, মোবাইল ফোন ও মাদকের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।