নয়াপাথারিয়া মাঠে ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে টান টান উত্তেজনাকর খেলার মধ্য নিয়ে হবিগঞ্জ শহরতলীর নয়াপাথারিয়া মাঠে জেলা পরিষদ সদস্য আশিক মিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার নয়াপাথারিয়া এনামুল ফুটবল একাদশকে ১ গোলে হারিয়ে আতুকুড়া ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ান হয়। খেলায় উভয় দলের পক্ষে দেশী-বিদেশী খেলোয়াড় অংশগ্রহন করেন। খেলার প্রথমার্ধে আতুকুড়া ফুটবল একাদশের পক্ষে ছালামত একটি গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধে নয়াপাথারিয়া এনামুল ফুটবল একাদশের পক্ষে বার বার গোল করার চেষ্টা করেও কোন গোল করতে না পাড়ায় রেফারীর শেষ বাঁশিতে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করে আতুকুড়া ফুটবল একাদশ। খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল মতিন। খেলা শেষে মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম, জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজিব আলী, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান, ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, সুজাতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মুর্শেদ সরকার। উপস্থিত ছিলেন লিটন মিয়া, আলাউদ্দিন সর্দার, নুর মিয়া তালুকদার, আব্দুল মজিদ, এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারি সেলিম উদ্দিন, সুবিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শামছুল হক আখনজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন- জেলা পরিষদ সদস্য আশিক মিয়া একজন ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রতি বছরই ফুটবল টুনার্মেন্টের আয়োজন করে এলাকার লোকজনদের মনে আনন্দ দেন। এ জন্য বক্তারা তাঁকে ধন্যবাদ জানান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া এ মাঠে আগামীতে এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ফুটবল টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মজিদ খান মাঠের উন্নয়নের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বলেন- খেলাধুলা মানুষের মনকে বিকশিত করে। খেলাধুলার সাথে যারা জড়িত তারা কখনও মাদকের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। তাই বেশি বেশি খেলাধুলার আয়োজন করা প্রয়োজন। পরে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন দলকে পুরস্কার হিসেবে একটি ঘোড়া প্রদান করেন। রানার্সআপ দলকে একটি এলইডি টিভি পুরস্কার দেয়া হয়।