পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বললেন
মনিরুল ইসলাম শামিম, বাহুবল থেকে ॥ মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে চা-বাগানকে মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই। চা-শ্রমিকদের মাঝে মাদকমুক্ত পরিবার যত বাড়বে ততই জোরদার হবে মাদকমুক্ত চা-বাগান গড়ার আন্দোলন। সোমবার বিকালে বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আমতলী চা বাগানে মডেল থানার উদ্যোগে আয়োজিত মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক বিট সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম পিপিএম এসব কথা বলেন। তিনি মাদকের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, মদ পান করা শ্রমিকরা শারীরিক, মানষিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে করে ওইসব পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। তিনি চা-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের মাঝে যে পরিবারগুলো মাদকমুক্ত থাকবে তাদের সন্তানরা সুস্বাস্থ্য ও মেধাবী হবে। আর সুস্থ ও মেধাবী সন্তান বড় হয়ে একদিন সরকারি-বেসরকারি চাকুরিসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ পদে যোগদান করে আপনাদের মুখ উজ্জল করবে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ দেশ সেরা অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ আপনাদের হবিগঞ্জ জেলার চা বাগান শ্রমিক সন্তান ডাঃ আর আর কৈরী। তিনি দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে চা-শ্রমিক তথা দেশের মূখ উজ্জল করে চলেছেন। তাইতো চা-বাগান শ্রমিকদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আমি এই উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচিগুলো হাতে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে এমন আয়োজন জেলার ২৪টি চা-বাগানে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সেলিম আহমেদের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাহুবল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, আমতলী চা বাগানের ব্যবস্থাপক সুহেল আহমেদ পাঠান, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম শামিম। বক্তব্য রাখেন ভাদেশ্বর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, ইউপি মেম্বার কুমার কৈরী, আমতলী চা বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক শামছুদ্দিন, কামাইছড়া চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি বিমল ভর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম পিপিএম জেলার ২৪টি চা বাগানকে শতভাগ মাদকমুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে বাহুবল উপজেলার আমতলী চা বাগান শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাদকমুক্ত ৩৬টি পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্রেস্ট, খাতা-কলমসহ বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন।