ধর্ষণে অভিযুক্ত ফুফা আজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম গ্রেফতার

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ফুফুর কাছে টেইলারী কাজ শিখতে গিয়ে ফুফার যৌন লালসার শিকার হয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী। আর স্বামীকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেছেন মেয়েটির ফুফু। এমন অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর (গুমগুমিয়া) গ্রামে। আলোচিত এ ঘটনার মামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার খাঁনপুর গ্রামের আজির উদ্দিন (৩৫) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (২৮)। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার খাঁনপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আজির উদ্দিন প্রায় ৯ বছর পূর্বে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর (গুমগুমিয়া) গ্রামের নাজমা বেগমকে। বিয়ের পর নাজমাকে তার বাড়িতে নেয়নি আজির। নাজমার বাড়িতেই তারা সংসার শুরু করে। প্রায় ৩ মাস পূর্বে নাজমা বেগম তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে ওই তরুণীকে টেইলারী কাজ শেখানোর প্রলোভন দেয়। এতে সম্মতি দেন তরুণীর মা। গত ১১ অক্টোবর থেকে ওই তরুণী তার ফুফু নাজমার বাড়িতে যায় টেইলারী কাজ শিখতে। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৪ অক্টোবরও টেইলারী কাজ শিখতে যায় তরুণী। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাজমার সহায়তায় তার স্বামী আজির উদ্দিন মেয়েটিকে একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিদিনের মতো মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় অপেক্ষা করে মেয়েকে আনতে নাজমার বাড়িতে যান ওই তরুণীর মা। তখন নাজমা ও তার স্বামী তরুণীর মাকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এমনকি তরুণীকেও আটকে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রামের মুরুব্বিদের জানিয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন তরুণীর মা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমানের নির্দেশে ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই কামাল আহমেদসহ একদল পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেফতার করে। গতকাল শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।