লোকড়ায় এমপি আবু জাহিরকে বর্ণাঢ্য গণসংবর্ধনা
প্রায় এক ঘন্টা ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংগঠন আর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এমপি আবু জাহিরের হাতে তিন শতাধিক ফুলের তোড়া, ফুলের মালা ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়
স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি কর্মের দ্বারা মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ হয়। জনসেবাকে ইবাদত মনে করে আপনাদের জন্য কাজ করি। আপনারাও আমাকে বার বার সম্মান দিচ্ছেন। এই সম্মানের প্রতিদান হিসেবে আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করব ইনশাল্লাহ। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে হবিগঞ্জের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জে প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এমপি আবু জাহির।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন হওয়ায় গতকাল শনিবার সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে গণসংবর্ধনা দেয় লোকড়া ইউনিয়নবাসী। আর এ সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুর থেকেই গণসংবর্ধনাস্থলে আসতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সময় বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মানুষের সংখ্যা। বিকেল ৪টায় জনতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে এমপি আবু জাহির এর হাতে তিন শতাধিক ফুলের তোড়া, ফুলের মালা ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন আর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে। এরপর শুরু হয় নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা পর্ব। গেল প্রায় এক যুগে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ অভাবনীয় নানা উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এমপি আবু জাহিরের প্রতি বক্তারা কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, আমরা সৌভাগ্যক্রমে এমপি আবু জাহির এর মত একজন নেতা পেয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এমন কর্মবীর ও উন্নয়ন বান্ধব নেতা আর একজনও হবিগঞ্জ পায়নি। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এমপি আবু জাহিরকে ধরে রাখা প্রয়োজন।
এর আগে বিকেলে এমপি আবু জাহিরকে প্রধান সড়ক থেকেই ফুল ছিটিয়ে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বরণ করে যুবসমাজ। ছিল বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন। তিনি মঞ্চস্থলে গেলে ধরা হয় নানা ধরণের শ্লোগান। তরুণরা বাজাতে থাকেন হরেক রকমের বাঁশি। শুভাকাক্সিক্ষরা হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে অসংখ্য গেট স্থাপন করা হয়।
লোকড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আব্বাসের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আক্রাম আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও কয়সর আহমেদ শামীম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মুকিত, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মীর জালাল, পাঁচগ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী আব্দুস ছত্তার তালুকদার, গোপায়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল তালুকদার, সাবেক ইউপি সদস্য রফিক আলী, বামকান্দির বিশিষ্ট মুরুব্বী হাজী জজ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য তাহির মিয়া, চানপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী সৈয়দ মিয়া, দৌলতপুর গ্রামের মুরুব্বী দীনেশ দাশ, মথুরানগরের বিশিষ্ট মুরুব্বী শনি লাল, গোপলপুরের বিশিষ্ট মুরুব্বী আব্দুস সামাদ মাস্টার, যাদবপুরের বিশিষ্ট মুরুব্বী সিজিল তালুকদার, আষেঢ়া-ফান্দ্রাইলের বিশিষ্ট মুরুব্বী সাবেক চেয়ারম্যান রইছ মিয়া চৌধুরী, ভাটপাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী মিয়া ধন মিয়া, আষেঢ়ার মুরুব্বী হাবিবুর রহমান, শের আলী মিয়া, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ছাদিকুর রহমান মুকুল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জুনেদ, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী সুজাতসহ লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক আলী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ নানা শ্রেণি পেশার দুই সহস্রাধিক লোকের সমাগম ঘটে।