পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই’র ঘটনায় আটক ৪ ॥ পুলিশ এসল্ট মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই’র ঘটনায় ওই গ্রামে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ছিনিয়ে নেয়া আসামী বুলবুলকে ধরতে পুলিশ প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের সাড়াশি অভিযানের ফলে গ্রেফতারের ভয়ে গ্রামের শত শত পুরুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আসামি ছিনতাই’র ঘটনায় বানিয়াচং থানার আহত এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট মামলা করেছেন। এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন হাবিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শেখ ফেরদৌস আহমেদ ও মুনসাফ মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ এমরান হোসেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ওসি এমরান দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে বলেন- ছিনিয়ে নেয়া আসামী বুলবুলকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। সেই সাথে হামলাকারীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ‘গ্রেফতারের ভয়ে নিরীহ গ্রামবাসীও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন’ বিষয়টি ওসি’র দৃষ্টিগোছরে আনা হলে তিনি ছিনিয়ে নেয়া আসামীকে ধরতে গ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন আসামী পেয়ে গেলে গ্রামে পুলিশের অভিযান থাকবে না।
অপরদিকে, গতকাল দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় ‘পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নিয়েছে মেম্বারসহ স্বজনরা ॥ বানিয়াচঙ্গ থানার দুই দারোগাসহ ৪ পুলিশ আহত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের আংশিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্রামের কয়েক মুরুব্বী। তারা বলেন সংবাদে ‘মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শেখ মমিনসহ বুলবুল মিয়ার স্বজনরা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়’ মর্মে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আসামী ছিনিয়ে নেয়ার সাথে মেম্বার মমিন জড়িত নন।
তবে ওসি এমরান জানান, গত বুধবার সন্ধ্যারাতে বানিয়াচং উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা ও দুটি মারামারি ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি বুলবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনির ও বদরুলসহ কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। ওই সময় তারা গ্রেফতার হওয়া বুলবুলকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় বানিয়াচং থানা পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ তোহাসহ চারজন আহত হন। এএসআই তোহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। ঘটনার রাতেই তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ মামলায় প্রায় ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।