দলিল লিখক ও সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একজনের জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে অন্যজন। আর এজন্য দলিল লিখক আব্দুর রকিব শিপন ও সাব রেজিস্ট্রার নির্মল বর্মনকেও অভিযুক্ত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তারা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা মৌজার ৬৯৪ খতিয়ানের ১৫৫৬, ১৫৫৭ দাগের ১২৯১ শতাংশের বাড়ি ও পুকুরের মূল মালিক পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের মৃত ইছরান উল্লাহ’র পুত্র হিরন মিয়া। এই একই খতিয়ান এবং একই দাগের ১২৯১ শতাংশের তিন শতক ৬৩ পয়েন্ট জায়গা রেজিস্ট্রি দেখে বিস্মিত হন হিরণ মিয়ার পরিবার। কাগজে কলমে এই জায়গার মূল মালিক হিরন মিয়া হলেও জালজালিয়াতি করে ৬৯৪ খতিয়ানের ১৫৫৬, ১৫৫৭ দাগের ১২৯১ শতাংশের তিন শতক ৬৩ পয়েন্ট জায়গা মধু বিবি নামে এক মহিলা দলিল লিখক আব্দুর রকিবের মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে জায়গা রেজিস্ট্রি করেন। জাল দলিলে নবীগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নির্মল বমন বিশ্বাসের স্বাক্ষরও পাওয়া যায়। জাল দলিল কিভাবে রেজিস্ট্রি করা হল, জানতে চাইলে সাব রেজিস্ট্রার নির্মল বমন বিশ্বাস বলেন, দলিল জাল কি না, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। দলিল লিখকরা আমার কাছে রেজিস্ট্রি করতে নিয়ে আসলে স্বাক্ষর করে দেই। অবৈধপন্থা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রিতে স্বাক্ষর দেন মধু বিবির পুত্র জিকু আহমেদ ও সোয়া মিয়া চৌধুরীর পুত্র উজ্জ্বল আহমেদ চৌধুরী।
এ বিষয়ে হিরন মিয়ার ভাতিজা যুবদল নেতা সাইফুর রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম জাল দলিল তৈরি করে জায়গা রেজিস্ট্রি হয়েছে তখন সাথে সাথে নবীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার নির্মল বমনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করি। সাব রেজিস্ট্রার নির্মল আমাকে বলেন, এসব বিষয় দলিল লিখকের কাজ।