উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা
বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দিগাম্বর শ্মাশান কালী মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪টায় বাহুবল অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী।
বক্তব্য রাখেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াকুত মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াছমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ কুটি, বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম, আজমল হোসেন চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু প্রমুখ।
সভায় সাতকাপন ইউনিয়নের গকলপুর ও আশপাশের ১৬ গ্রামের চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবির জবাবে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এক সপ্তাহের সময় নেন। এ সময়কালের মধ্যে তিনি চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সভাকে আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কিছুসংখ্যক দুর্বৃত্ত দিগাম্বর হাজীমাদাম ও রাজসুরত শ্মাশান কালী মন্দির ভাংচুর করে। এ সময় তারা হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ কর্তৃক শ্মাশানঘাটের সীমানা প্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক, শ্মাশানে থাকা মুর্তি ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এ ব্যাপারে ঘটনার পরদিন শনিবার করুনাময় দেব বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের গকলপুর ও আশপাশের ১৬ গ্রামে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসী একাধিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় গ্রামবাসী চিহ্নিত চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।