শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ও পূজার বোনাস পরিশোধের দাবি
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে চা-শ্রমিকদের ৩শ’ টাকা মজুরী বৃদ্ধি, চুক্তি নবায়ন ও বিগত ২২ মাসের বকেয়া বোনাস ও পূজার বোনাস পরিশোধের দাবিতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ২৪টি চা বাগানের শ্রমিকরা মানববন্ধন ও ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। পরে এক মানবন্ধন করে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের হুমকি দিয়েছে। সকাল ১০টায় চান্দপুর চা বগানের মেইন ফটকে বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাওতালের সভাপতিত্বে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নৃপেন পাল। এতে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী ফোরামের সভাপতি স্বপন সাওতাল, কাঞ্চন পাত্র, সন্ধা নায়েকসহ অনেকেই। একইভাবে উপজেলার পারকুল, আমু, চন্ডিছড়া, লস্করপুর ও দেউন্দিসহ বিভিন্ন বাগানে কর্মবিরতি পালন এবং মানববন্ধন করে। এসব মানববন্ধনে পঞ্চায়েত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ভ্যালীর চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতি ২ বছর পর পর বাগান মালিকদের সাথে চুক্তি নবায়ন হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষে আরো ২২ মাস অতিবাহিত হলেও তারা চুক্তি নবায়ন না করে টালবাহানা করছে। মজুরী ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে তারা ৩শ’ টাকা বৃদ্ধি করার জন্য বিগত ২২ মাস পূর্ব থেকে যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশ সরকারের মজুরী বোর্ডের সাথে ৫ বার বৈঠক হলেও এর কোনো সুফল হয়নি। বিশ্বের কোথাও এত স্বল্প আয়ের মজুরী নেই। করোনাকালীন সময়েও আমরা চা-বাগানের কাজ চালিয়ে গিয়েছি। দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রেখেছি। কিন্তু আমরা বিনিময়ে কি পেয়েছি, বকেয়া বোনাস ২২ মাস হওয়ার পরও মালিক পক্ষ মজুরী বৃদ্ধি করছেন না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বে ২২ মাসের বকেয়া প্রদান, ৩শ’ টাকা মজুরী বৃদ্ধি এবং নতুন চুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করব।