স্টাফ রিপোর্টার ॥ মডার্নার কাছ থেকে করোনা ভাইরাসের ১০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক ওই কোম্পানিকে মার্কিন সরকার পরিশোধ করবে ১৫২.৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সময়মত টিকা সরবরাহের প্রণোদনা। অপারেশন ওয়ার্প স্পিড ইনিশিয়েটিভের অধীনে মডার্নার কাছ থেকে এই টিকার আরও ৪০ কোটি ডোজ কিনবে যুক্তরাষ্ট্র। মডার্নার টিকার নাম দেয়া হয়েছে এমআরএনএ-১২৭৩। এর আগে ইউএস বায়োমেডিকেল এডভান্সড রিচার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বারডা) মোট ৯৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার অর্থ সরবরাহ দিয়েছে মডার্নাকে। উল্লেখ্য, করোনার কার্যকর টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে সামনের সারিতে আছে এই কোম্পানিটি। রেকর্ড সময়ের মধ্যে এই টিকা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় পৌঁছেছে।
করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড পাওয়ার পর এই টিকা আনতে তাদের সময় লেগেছে মাত্র ৬৩ দিন। সেপ্টেম্বরে এর চূড়ান্ত দফার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে মডার্নার টিকা ভাল ফল দেখিয়েছে। প্রথম দফার গবেষণার অন্তর্র্বতী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই টিকাটি দ্রুত এবং শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে।
এদিকে, যে উৎসের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দ্রুত পাওয়া যাবে তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকা আমরা কীভাবে সংগ্রহ করবো এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে কীভাবে টিকা সংগ্রহ করা হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। আমার পক্ষে এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি টিকা সংগ্রহের জন্য একটি সোর্সের ওপর নির্ভর করলে এটা পাওয়া কঠিন হবে। আমি এরই মধ্যে দেখেছি যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করবে তাদের সঙ্গে অনেক দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, অগ্রিম টাকাও দিয়েছে। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বললাম আমাদেরও এ ধরনের ব্যবস্থায় যেতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করেছে। আমরা যদি সরাসরি অক্সফোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে নাও পারি, তাহলে অন্তত ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারি। আসল কথা হচ্ছে, আমাদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। সব সোর্সের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। যেখান থেকে আমরা টিকা পাবো সেখান থেকে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ইতিমধ্যে তাদের টিকা প্রয়োগ করেছে। আমার মনে হয় রাশিয়ার টিকা দ্রুত বাজারে আসবে। রাশিয়া থেকে টিকা পাওয়ার জন্য তাদের সোর্সের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ করতে হবে। যারাই টিকা তৈরি করে তাদের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ করতে হবে। টিকা কেনার জন্য বাজেটে কিছু অর্থও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যাতে ভ্যাকসিন কেনা বা আগে পাওয়ার জন্য আমরা জরুরি প্রয়োজনে অর্থায়ন করতে পারি।’