মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকা অনুযায়ী নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদীর তীরবর্তী চরগাঁও ব্রীজ হতে রিফাতপুর, বরাকনগর এলাকায় ৮৮ জন অবৈধ বসবাসকারী রয়েছেন। আর অবৈধ দখলকারীদের গড়ে তোলা ১০১টি স্থাপনা রয়েছে, যা আজ উচ্ছেদ অভিযানে নামবে প্রশাসন। এতে এ নদী ফিরে পাবে তার হারানো যৌবন। যে যতটুকু জায়গা দখল করেছেন সবাইকে উচ্ছেদ করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সকাল ১০ টায় ‘হাট নবীগঞ্জ’ মৌজা থেকে অভিযান শুরু হবে। অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন। সাথে থাকবেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়াররা। সহযোগিতা করবেন থানা পুলিশ। এদিকে রবিবার প্রেস ব্রিফিংকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মামলা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে বলেন, যেখানে সমস্যা থাকবে সেখানে মামলা নিষ্পত্তি করেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। আর যেখানে সর্বোচ্চ আদালতের ডিক্রি রয়েছে সেখানকার জায়গা অধিগ্রহণ করে হলেও উচ্ছেদ করা হবে। অর্থাৎ সরকারি জায়গা পুনরায় ক্রয় করে হলেও নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নবীগঞ্জ উপজেলার হাট নবীগঞ্জ, শিবপাশা ও রিফাতপুর মৌজার অন্তর্গত শাখা বরাক নদীর তীরবর্তী চরগাঁও ব্রীজ হতে রিফাতপুর, বরাকনগর এলাকায় অবৈধ বসবাসকারীদের সরকারি ভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতভিটি, দোকানভিটি উচ্ছেদকল্পে নির্মাণকারীদের নামের তালিকা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নবীগঞ্জ ভূমি অফিস ও পৌরসভার সার্ভেয়াররা অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা লাল রঙ দ্বারা চিহ্নিত করে রেখেছেন। সচেতন মহল মনে করেন- সঠিকভাবে নদী দখল উচ্ছেদ করা হলে নদীটির যৌবন ফিরে পাবে। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।