স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনু মিয়ার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামী চেয়ারম্যান আনু মিয়াকে গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। তবে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এর পূর্বে জায়গা দখলের চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে চেয়ারম্যান আনু মিয়ার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরের এক যুবককে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তির উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালান ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক। এসময় তাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ভাংচুর করা হয় তার মোটর সাইকেল। শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সাদেক মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর সাদেক মিয়ার ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় গোবিন্দপুর গ্রামের হায়দর আলীর পুত্র ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়াকে। এর পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান চেয়ারম্যান আনু মিয়া।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বলেন, এ মামলায় চেয়ারম্যান আনু মিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে, জায়গা দখলের চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন আহতের স্বজনরাসহ এলাকাবাসি।