
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আতুকুড়া হাওর বিলাসের সামনে দোকানঘর নির্মাণের কাজ করায় পর্যটকদের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অবিলম্বে ওই দোকান ঘরটি উচ্ছেদ না করলে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করবে পর্যটকরা।
সূত্র জানায়, হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ২০২৩ সালের দিকে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের আতুকুড়া হাওরে হাওর বিলাসটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০২৪ সালের দিকে হাওর বিলাসটি কাজ সম্পন্ন হয়। এতে সরকারের ২৪/২৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর ওই সড়কে যেসব পর্যটক আসা যাওয়া করেন হাওর বিলাসে প্রবেশ করে হাওরের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেন এবং সেখানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলেন। শুধু পর্যটকরা নয়, যারাই এ সড়ক দিয়ে যান সময় পেলে তারাই হাওর বিলাসে প্রবেশ করেন। রাতে ভ্রমণপ্রেমীরা সেখানে গিয়ে অবসর সময় কাঠান। গত রমজান মাসে সেখানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সৌন্দর্যপূর্ণ স্থানটি উপজেলার তালিকাভুক্ত একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসন লীজ দেওয়া উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে হাওর বিলাসটি লীজ দেওয়া হয়। গতকাল হঠাৎ করে হাওর বিলাসের পাশে একটি দোকানঘর নির্মাণের কাজ করা হয়। দোকানটি নির্মাণের কাজ শুরু করার পর পরই ভ্রমণপিপাসুরা এর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা বলছেন দোকানটি নির্মাণ হলে হাওর বিলাসের কোন সৌন্দর্য থাকবে না।
এ ব্যাপারে আতুকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল আহমেদ জানান, হাওর বিলাসটি আতুকুড়া গ্রাম নয়, পুরো বানিয়াচং উপজেলাবাসীর একটি সৌন্দর্যের স্থান। এখানে এসে ভ্রমণপ্রেমীরা হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। সৌন্দর্যের জন্য হাওর বিলাসটি নির্মাণ হলেও এখন কেন এর সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। দোকানের জন্য লীজ দিলে এর চেয়ে একটু দুর দোকান নির্মাণ করবে। কিন্তু কেনই বা এখানে দোকান নির্মাণ করা দরকার। সরকারের কি এতোই টাকা অভাব।
এ ব্যাপারে তারেক আখনজী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হাওরের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য হাওর বিলাসটি উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন। এখানে দোকান কেন নির্মাণ করা হবে। এর সামনে ঘর নির্মাণ করা হলে তো সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। তারপরও যদি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবসার প্রয়োজন হয় তাহলে ৫০ থেকে ১শ ফুট দুরে দোকানের জন্য হাওর বিলাস লীজ দেয়া যেতে পারে।