স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের উত্তর সাঙ্গর গ্রামে গরুর ধানের খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত টেটাবিদ্ধ কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে উত্তর সাঙ্গর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন খন্দকারের পক্ষের আইয়ুব আলীর ধানের খড় একই গ্রামের ভিংরাজ মিয়ার গরু খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগমের সাথে আইয়ুব আলী স্ত্রী রুপিয়া বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আইয়ুব আলীর ছেলে বাবুল মিয়া উত্তেজিত হয়ে ভিংরাজ মিয়ার ছেলে বাকপ্রতিবন্ধি তকদীর মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে ভিংরাজ মিয়া এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এ খবর ভিংরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে এ নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। ৩ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতাবস্থায় টেটাবিদ্ধ শাহ আলম (২২), আলী ছমেদ (৪০), কুদরত আলী (৫০), হেলাল মিয়া (৩৫) ও তাহের আলীকে (৫০) ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া আহত ভিংরাজ মিয়া (৫০), তবুর মিয়া (২২), সাইফুল ইসলাম (২৫), আফজল হোসেন (২৫), নাসির মিয়া (৩৫), আক্তার হোসেন (৪০), সোহেল মিয়া (২৫), জুলিকা বেগম (৪৫), বাবুল মিয়া (২৫) সহ অন্যান্য আহতদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা দক্ষিণ বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল হুদা ও সাবেক চেয়ারম্যান জালাল খন্দকার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার মরহুম ইদ্রিছ মিয়ার লোকজনের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বানিয়াচং থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।