![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2025/02/001-Apu-Ahmed-Rawshan-Habiganj-sping-Jalal-pic.jpg)
দুই পুলিশ সদস্য সাসপেন্ড ॥ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
অপু আহমেদ রওশন/মোহাম্মদ কামরুল হাসান ॥ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাথরুমে যাবার কথা বলে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্ধর্ষ ডাকাত স্প্রিং জালাল মিয়া (৩৯)। শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা এই ঘটনা ঘটে। সে মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা দুবাই মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় জালাল পুলিশকে বলে আমি বাথরুমে যাব। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, আসামীকে আমরা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ পুলিশ সদস্যদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম, তারাই দায়িত্বে ছিল।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী ভোরে এসআই কাউছার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এর আগে উলুকান্দি গ্রাম থেকে আরও ১ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলো- মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর পুত্র ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার পুত্র রুবেল আহমদ রনি (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া (৪২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর পুত্র রুহুল আমিন (২৪)।
পুলিশের দাবি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালালে ডাকাতরা পুলিশের উপর আক্রমণ করতে আসে। তাৎক্ষণিক পুলিশ তাদের ঘেরাও করে আটক করে। এ সময় চার ডাকাত আহত হয়। তাদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিন ডাকাতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আর গুরুতর আহত ডাকাত জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালালকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছিল।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ থানা এলাকায় দুই বিএনপি নেতা ডাকাতের কবলে পড়েন। একই সময় ডাকাতের হামলায় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডাকাত জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল পালানোর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবলদ্বয় হলেন- বিজয় কুমার ও ইফতেখারুল হক। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল হক মুন্সীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিআইও ওয়ান কামরুল হোসেন ও ডিবির ওসি নন্দন কান্তি।