স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলার সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লিখক নেতা তাজুল ইসলাম (৪০) এর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূয়া দলিল রেজিস্ট্রারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর নেপথ্যে রয়েছেন অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে তাজুল ইসলাম এসব অনিয়ম বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব এতোদিন অজানা ছিলো। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার ১৮ নম্বর আসামি হওয়ায় রিচি আইরাকোনা গ্রামের জনাব আলীর পুত্র তাজুল ইসলামের এসব তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বলে এলাকায় মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে শহরবাসীর মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে এমপি আবু জাহির ক্ষমতায় আসার পর অলিপুর, মাধবপুর, শাহজীবাজার, নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এমপি আবু জাহির জায়গা কিনলে তাজুলের মাধ্যমে তা রেজিস্ট্রারী করাতেন। তিনি এক কোটি টাকার দলিল করলে ২ লাখ টাকা পেতেন। এসব অবৈধ দলিল করে তার উত্থান শুরু হয়। রয়েছে তার নামে বেনামে অসংখ্য বাড়ি গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্স। গত ২৫ ডিসেম্বর যুবদল কর্মী মেরাজ আহমেদ দলিল লিখক তাজুলের নাম উল্লেখ করে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার নম্বর-২১। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে অংশ নেয়ার পরও আর কোনো মামলায় তিনি আসামি হননি। তাছাড়া প্রতিদিন অফিস করেন প্রকাশ্যে। মাঝে মধ্যে তাকে ছাত্র জনতা আটক করলেও রহস্যজনক কারণে ছাড়া পেয়ে যান। এ বিষয়ে বাদীসহ ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com