স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মোস্তাক আহমেদ ও রিপন শীল হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক ফখরুল ইসলামের এজলাসে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে কড়া পাহারায় তাকে আদালতে হাজির করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। তবে এ সময় আতাউর রহমান সেলিমের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়নি।
সদর থানার ওসি মো. নূরুল ইসলাম জানান, গত ২ আগস্ট হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শ্রমিক মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৪ আগস্ট রিপন শীল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আতাউর রহমান সেলিম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক দল। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুড়পাড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের টানা তিন ঘন্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোস্তাক আহমেদ। এ ঘটনায় (২০ আগস্ট) শহরতলীর উমেদনগর গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ১১১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোস্তাক হত্যা মামলা ছাড়াও হবিগঞ্জ শহরে রিপন শীল হত্যা মামলারও আসামী সাবেক পৌর মেয়র সেলিম।