বিশেষ প্রতিবেদন…

মো. মামুন চৌধুরী ॥ চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে আলীনগরে পরিবার নিয়ে বসবাস বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়ার। নির্লোভ এ বীর মুক্তিযোদ্ধার চাওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। তিনি সব সময় দেশের মঙ্গল কামনা করেন।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পর মনকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। কিভাবে যুদ্ধে অংশ নেওয়া যাবে, এ চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। অবশেষে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেই। পরে সাথীদের সাথে চলে যাই ভারতে। সেখানে প্রশিক্ষণ নেই। ভারত থেকে এসে ৩নং সেক্টরের প্রধান মেজর কেএম শফি উল্লাহ’র অধীনে পাক হানাদারদের সাথে লড়াই করে দেশকে মুক্ত করতে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ি মুক্তিযুদ্ধে। ৩নং সেক্টরের আওতাধীন জেলার চুনারুঘাটের তেলিয়াপাড়া, একডালা, কালেঙ্গা, বালুমারা (রেমা), নালমুখসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেই। এক পর্যায়ে বালুমারায় সম্মুখ সমরে প্রিয় সঙ্গী রমিজ উদ্দিনকে হারাই। বীরত্বের জন্য শহীদ রমিজ উদ্দিনকে বীরবিক্রম খেতাব দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হলে শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে আব্দুল আজিজের কাছে অস্ত্র জমা দেই। যুদ্ধের স্মৃতি মনে হলে, ঠিক থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। কষ্ট পাই, রাজাকারদের কথা মনে হলে। এদেশে আর রাজাকারদের দেখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা বড় পাওয়া। এখন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এসব দেখে ভাল লাগছে। এখন বয়স বাড়ায় শরীরে নানা রোগ দেখা দিয়েছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।