স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১৭০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। রপ্তানি বন্ধের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। অথচ যে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে ওই পেঁয়াজ তারা বেশি দামে কিনে আনেননি দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। কিন্তু দাম কমলে ব্যবসায়ীরা দাম না কমিয়ে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন। এ ব্যাপারে তাদের জিগ্যেস করা হলে তারা জানান, বেশি দামে কেনা, তাই কম দামে বিক্রি করা যাবে না।
জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর, চৌধুরী বাজার, চাষি বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর, ড্রাইভার ও পুরান বাজার, চুনারুঘাট মধ্যবাজার, মাধবপুর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি হয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে শুক্রবার বিকেল থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। গতকাল শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। প্রায় প্রতিটি দোকানে পূর্বের পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম আদায় করছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে।
মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সংবাদ শুনেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি মোটেও ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম আদায় করে নিচ্ছেন। প্রশাসনকে দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।
শাহ আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, কিছুদিন পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি ১৭০ টাকা হয়েছে। হয়তো দু’একদিনের মধ্যে দাম আরও বাড়বে। এটি কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। পূর্বের পেঁয়াজ রেখে ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বন্ধের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতো দামে পেঁয়াজ কেনার ক্ষমতা মুষ্টিমেয় মানুষের পক্ষে সম্ভব হলেও বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে সাধারণ মানুষজনের সেই সামর্থ্য নেই বলে দাবি করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি।