স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে বানিয়াচং উপজেলার আড়িয়ামুগুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত এবং বাকি পরীক্ষা অন্য কমিটির দ্বারা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে আবেদনকারীরা। জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ, জেলা শিক্ষা অফিসার, মাউশি সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান ও বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদনে তারা এ দাবি জানান। আবেদনে উল্লেখ করা হয়- আড়িয়ামুগুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১ জন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও ২ জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর তারিখে পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের এডমিট কার্ড প্রদান করা হয়। এডমিট কার্ডে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়। কিন্তু কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার জন্য বলা হয়নি। পরীক্ষা সকাল ১১ টায় আরম্ভ হবে বলা হলেও প্রার্থীদের কোনো রোল নম্বর না থাকায় ও সিটপ্ল্যান না করে ১১ টার আধঘণ্টা পর ৪র্থ শ্রেণির দুটি পদে পরীক্ষা দেয়ার কথা বললে ওই পদের প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি সহ দুইজন সরকারি প্রতিনিধি প্রশ্ন তৈরীতে দেরি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের মনোনীত প্রার্থীকে পূর্বেই প্রশ্নপত্রে কি আসবে তা বলে দিয়ে সেই প্রশ্ন তৈরী করতে দেরি করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে লিখিত ও মৌখিক এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে লিখিত ও নামমাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহারিক পরীক্ষায় কোনো কম্পিউটার স্পেশালিস্ট ছিলেন না। অপরদিকে মূল সনদ যাচাই করার কথা থাকলেও তা যাচাই করা হয়নি। উক্ত নিয়োগে দুর্নীতি হবে এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগকারীদেরকে তদন্ত অনুষ্ঠানে হাজির না করে ভূয়া ২/১ জন লোক এনে অভিযোগ করিনি মর্মে তাদেরকে সাক্ষ্য প্রদান করান। যদিও তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগকারী সকলকে দাওয়াত দেয়ার জন্য বলে ছিলেন। আবেদনকারীদের ধারণা সরকারি প্রতিনিধিকে টাকার বিনিময়ে খুশি করে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগের ফলাফল দেয়া হয়েছে এবং ওই দুই ব্যক্তির চাকুরী হবে তা অনেক আগ থেকেই এলাকায় ভেসে বেড়াচ্ছিল। নিয়োগ আবেদনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ৫ আগস্ট। কিন্তু ২৯ নভেম্বর তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে ৪র্থ শ্রেণির দুইটি পদের জন্য টাকা লেনদেন হয়েছে এবং তা কোনো এক জায়গায় জমা আছে। কার কার চাকুরী হবে তাও সবার জানা। কিন্তু প্রার্থীদের গন্ডগোলের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হয়। এমতাবস্থায়, বর্তমান কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ সুষ্ঠু হবে না বিধায় দুইটি পদের ফলাফল স্থগিত ও বাকী দুইটি পদের পরীক্ষা অন্য কোনো কমিটির মাধ্যমে নেয়ার দাবি জানান আবেদনকারীরা।