নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণকে এই সেবা দেয়াকে আমি দায়িত্ব মনে করি। তাই পৌরসভার মাধ্যমে ইতিমধ্যে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আরো দুটি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’- প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘শহরের পিটিআই রোডে পৌরসভার একটি ভবন অকার্যকর ছিল। এই ভবনের সামনে মাদকের অভয়ারণ্য ছিল। দরিদ্র অসহায়, শ্রমজীবী মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে এই কেন্দ্রে সাধারণ রোগীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এই কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা গ্রহীতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো কাজ করতে হবে। জনগণের মাঝে প্রচার করে তাদেরকে এ সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মেয়র বলেন, ‘আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট চালু করবো। আমরা আরো দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ শুরু করেছি। পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি হবে শহরের উমেদনগর এলাকায়। স্থায়ীভাবে ডাক্তার নিয়োগেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় আমারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেতে যাচ্ছি।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষ্ণু সাহা ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।
পৌর কাউন্সিলরদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জাহির উদ্দিন, গৌতম কুমার রায়, প্রিয়াংকা সরকার ও শেখ সুমা জামান। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ইউএসএইড এর সিলেট রিজিওন্যাল কো-অর্ডিনেটর আব্দুল মতিন, এলএইচএসএস ক্যাপাসিটি বিল্ডিং স্পেশালিস্ট আবু সুফিয়ান, প্রজেক্ট স্পেশালিস্ট সোহেল রানা ও টিএ রবিন।