স্টাফ রিপোর্টার ॥ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে হবিগঞ্জের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে পুনরায় হবিগঞ্জের সকল বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। ডাক্তারগণও প্রাইভেট রোগী দেখবেন।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত দি জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ডাক্তার এস কে ঘোষ ও ওই হাসপাতালের পরিচালকসহ ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেন হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদে হবিগঞ্জ জেলার সকল বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। গতকাল রবিবার জেলার সকল বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ রোগীরা। কোন ডাক্তার প্রাইভেট রোগী দেখেননি।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে হবিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক ওনার্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল বারী আউয়ালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোগীদের স্বার্থ বিবেচনায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আজ থেকে পুনরায় হবিগঞ্জের সকল বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। ডাক্তারগণও প্রাইভেট রোগী দেখবেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নূর আলীর স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫৫) জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে টিউমার অপসারণের সময় খাদ্যনালি, জরায়ু ও কিডনি কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে গাইনি চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষের বিরুদ্ধে। পরে ওই নারী মারা যান। এ ঘটনার পর নিহতের চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে গাইনি চিকিৎসক ডা. এস কে ঘোষ, হাসপাতালটির পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম, দালাল জনি আহমেদ ও তাবির হোসাইনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর ডা: এস কে ঘোষ হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।